অষ্টম খণ্ড

পীর দরবেশরাও রেহাই পায়নি

৬২| পীর দরবেশরাও রেহাই পায়নি (৪৬১) সুত্র – দৈনিক আজাদ, ১১ই মার্চ, ১৯৭২ পীর-দরবেশরাও কসাইদের হাত থেকে রেহাই পায়নি কইবুল্লা সাহেব। উত্তর বাংলার আনাচে-কানাচে তার হাজার হাজার মুরীদ, সাগরেদ। তার মাঝারি ধরনের বাড়িটায় সর্বদা গমগম করতো শত শত দর্শনার্থী। কোরান পাঠ, মিলাদ, মহফিলে, ওয়াজ নসিহত আর ওয়াক্তে ওয়াক্তে নামাজ – এক স্বর্গীয় পবিত্রতায় সারাক্ষন ভরে […]

পীর দরবেশরাও রেহাই পায়নি Read More »

কেউ পাশবিকতা থেকে অব্যাহতি পায়নি

৬১| কেউ পাশবিকতা থেকে অব্যাহতি পায় নি (৪৫৯-৪৬০) সুত্র – দৈনিক আজাদ, ৮ মার্চ, ১৯৭২ বারো বছরের কচি কিশোরী কিংবা পঞ্চাশের বৃদ্ধা কেউ পাশবিকতা থেকে অব্যাহতি পায়নি || আবুল হোসেন মীর || উধার আটঠো লাশ হ্যায়। কুত্তাছে খিলানা হ্যায়, খিলাদো। আউর না কিসিকো দেনা হ্যায় দে দো। যাও, যো তোমহারা মর্জি করো” পাক জল্লাদদের কথাগুলো

কেউ পাশবিকতা থেকে অব্যাহতি পায়নি Read More »

স্বাধীনতার বেদীমূলে পিতা- পুত্র

সুত্র – বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ২ মার্চ ১৯৭২। স্বাধীনতার বেদীমূলে পিতা- পুত্র || আবুল কাসেম || পিতা তফিজউদ্দিনের বহু স্বপ্ন লুকায়িত ছিল তাঁর তৃতীয় পুত্র আয়নাল হককে কেন্দ্র করে। শৈশব থেকে মায়ের মায়া মমতা থেকে ছিল সে পুরোপুরি বঞ্চিত। তাই বাবাকে সেই স্নেহ পূরণের জন্য এই মাতৃহীন সন্তানের সব আবদারই নীরবে সহ্য করতে হয়েছে। এমনি

স্বাধীনতার বেদীমূলে পিতা- পুত্র Read More »

গোপালপুর সুগারমিলে গণহত্যা

৫৯| গোপালপুর সুগারমিলে গণহত্যা (৪৫৬-৪৫৭) সুত্র – দৈনিক বাংলা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ গোপালপুর সুগারমিলে গণহত্যাঃ আজিম সাহেব বাচেঁননি তিনশ কর্মচারীকেও বাচাঁতে পারেননি || সাখাওয়াত আলী খান প্রদত্ত || মিসেস আজিম। তিন সন্তানের জননী। উনাকে খুব রোগা দেখাচ্ছিল। তিনি বললেন, প্রায় দশ মাস হয়ে গেছে সে নেই-এখন স্বপ্নের মতো মনে হয় সব। দুঃখ করবো কি বলেন,

গোপালপুর সুগারমিলে গণহত্যা Read More »

মৌলভিবাজারে আরও বধ্যভূমির সন্ধান

৫৮। মৌলভিবাজারে আরও বধ্যভূমির সন্ধান (৪৫৫) সুত্র – সংবাদ, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ মৌলভীবাজারে আরো অনেক বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ (এনা)- শেরপুর জেটিতে হানাদার বাহিনীর বর্বরতা সাক্ষী এমন একটি বধ্যভূমি আবিষ্কৃত হয়েছে। এখানে প্রায় ১হাজার ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। তারপর মৃতদেহগুলো কুশিয়ারা নদীতে ছুড়ে ফেলা হয়। বরুরা চা বাগানের পশ্চিমে আচেরাতে আর একটি

মৌলভিবাজারে আরও বধ্যভূমির সন্ধান Read More »

মনুব্রিজে প্রকাশ্য গণহত্যা

৫৭। মনুব্রিজে প্রকাশ্য গণহত্যা (৪৫৪) সূত্র – দৈনিক আজাদ, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২। মনুব্রিজে প্রকাশ্য গণহত্যা জল্লাদরা শেরপুর জেটিতে দুই হাজার লোক মেরেছে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী মৌলভীবাজার মহকুমার বিভিন্নস্থানে যে হত্যাকান্ড চালিয়েছে সেসব বধ্যভুমি ক্রমে আবিষ্কার করা হচ্ছে। এ ধরনের একটি বধ্যভুমি শেরপুর জেটি থেকে আবিষ্কৃত হয়। তথায় প্রায় দুই হাজার লোককে হত্যা করা হয় এবং

মনুব্রিজে প্রকাশ্য গণহত্যা Read More »

বগুড়ার মান্নান ভাই এবং আরও কয়েকজন তরুণ হত্যার বিবরণ

৫৬| বগুড়ার মান্নান ভাই এবং আরও কয়েকজন তরুণ হত্যার বিবরণ (৪৫৩) সূত্র – -বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ বগুড়ার পরিচিত মুখ ‘মান্নান ভাই’ আজ একুশের রক্তপলাশে আরেক পুস্পস্তবক মান্নান ভাই কোথায়? বগুড়ার সবার মনেই একটি প্রশ্ন। বগুড়ার আনাচে কানাচে সবাই জানেন এই ভাইটিকে। বয়স বেশী নয়। খুব বেশী হলে বিশ-বাইশ বছর হয়েছে। মান্নান ভাই

বগুড়ার মান্নান ভাই এবং আরও কয়েকজন তরুণ হত্যার বিবরণ Read More »

ফেনীতে পাকবাহিনীর নৃশংসতার কাহিনী

৫৫। ফেনীতে পাকবাহিনীর নৃশংসতার কাহিনী (৪৫২) সূত্র – দৈনিক আজাদ, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ১৯৭২ নরহত্যা, অগ্নিকান্ড ও ধ্বংসযজ্ঞই ওদের কাজ ছিল ফেনীতে হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার কাহিনী (নিজস্ব সংবাদদাতা) লক্ষাধিক শরনার্থীর দেশে প্রত্যাবর্তন ও তথায় কর্মচাঞ্চল্য শুরু হওয়ার পর জেলার ক্ষয়ক্ষতি ও গণহত্যার আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রকাশ, ফেনী মহকুমার ১ লক্ষ ২০ হাজার শরনার্থীর মাঝে

ফেনীতে পাকবাহিনীর নৃশংসতার কাহিনী Read More »

ভৈরবে হত্যাকাণ্ড

৫৪। ভৈরবে হত্যাকাণ্ড (৪৫১) সূত্র – সংবাদ, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ ভৈরবে একদিনেই ৪শ’ লোককে গুলি করা হয়েছে ।। নিজস্ব সংবাদদাতা প্রেরিত ।। ১৯৭১ সালের এপ্রিল থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ৯ মাসে বর্বর পাকবাহিনীর দস্যুরা বাংলাদেশের অন্যতম নদী বন্দর ভৈরবে ত্রাস এবং বিভীষিকার রাজত্ব চালিয়েছিল। হানাদাররা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, ভৈরব এবং আশুগঞ্জ এলাকার শত শত মাকে

ভৈরবে হত্যাকাণ্ড Read More »

অগ্নিদগ্ধ, লুণ্ঠিত, ধর্ষিত কাশিয়াবাড়ী

৫৩। অগ্নিদগ্ধ, লুণ্ঠিত, ধর্ষিত কাশিয়াবাড়ী (৪৪৯-৪৫০) সূত্র – দৈনিক পূর্বদেশ। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২। অগ্নিদগ্ধ, লুণ্ঠিত, ধর্ষিত কাশিয়াবাড়ি ।। গবিন্দলাল দাস ।। অজপাড়া গাঁ হলেও কাশিয়াবাড়ি একেবারে ছোট্ট গাঁ নয়। গাইবান্ধা মহকুমার পলাশবাড়ী থানার এই গাঁ-টাতে ছিলো ৭০০ গৃহস্থবাড়ী। হিন্দু মুসলমানের বাসস্থান। মিলেমিশে ছিলো তারা এই গাঁয়ের মাটিতে। এক সম্প্রদায়ের সাথে ছিলো আরেক সম্প্রদায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

অগ্নিদগ্ধ, লুণ্ঠিত, ধর্ষিত কাশিয়াবাড়ী Read More »

Scroll to Top