দশম খণ্ড

সাক্ষাৎকারঃ ব্রিগেডিয়ার এম এ মতিন

শিরোনাম সূত্র তারিখ ৬। ৩ নং সেক্টরের যুদ্ধ সংক্রান্ত অন্যান্যের বিবরণ বাংলা একাডেমির দলিলপত্র তারিখ ——–১৯৭১ <১০, ৬.১, ২১৭-২১৯> সাক্ষাৎকারঃ ব্রিগেডিয়ার এম, এ, মতিন* আমাদের হেডকোয়ার্টার তেলিয়াপাড়া থেকে তুলে ভারতীয় সীমান্ত সীমানাতে স্থানান্তরিত করা হয়। মে মাসের প্রথমে আমার কোম্পানী নিয়ে তেলিয়াপাড়াতে ঘাঁটি, সংখ্যায় ছিলাম ৮০/৮৫ জন। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ক্যাপ্টেন ভূঁইয়া চট্টগ্রাম থেকে […]

সাক্ষাৎকারঃ ব্রিগেডিয়ার এম এ মতিন Read More »

মনোহরদী অবরোধ

মনোহরদী অবরোধ-২১ শে অক্টোবরঃ অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমাদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়াতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের ছোটখাটো দলকে (ডিটাচমেন্ট) থানা হেডকোয়ার্টার পর্যন্ত পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল। প্রত্যেক থানা হেডকোয়ার্টারের সৈন্যসংখ্যা এক কোম্পানির কম রাখতে সাহস পেত নাহ। এক কোম্পানী করে সৈন্য প্রত্যেক থানাতে দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছিল না। কারণ কোন কোন স্থানে সৈন্যসংখ্যা এক ব্যাটালিয়নেরও বেশি

মনোহরদী অবরোধ Read More »

কালেঙ্গা জঙ্গলে অ্যামবুশ

কালেঙ্গা জঙ্গলে অ্যামবুশ-২৪শে সেপ্টেম্বরঃ সিলেটের অভ্যন্তরে যে সমস্ত গেরিলা পাঠাতাম, তাদেরকে এই কালেঙ্গা জঙ্গলের মধ্যে দিয়েই পাঠাতাম। পাক সেনাবাহিনী এ খবর পেয়ে কালেঙ্গা জঙ্গলে তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। তারা যাতে নিরাপদে চলফেরা না করতে পারে সেজন্য কালেঙ্গা রেস্ট হাউসের পাশে কিছুসংখ্যক এন্টি-পারসোনাল মাইন পুঁতে রাখা হয় এবং এর প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করার জন্য লোক নিয়োগ করি।

কালেঙ্গা জঙ্গলে অ্যামবুশ Read More »

মুকুন্দপুর অ্যামবুশ

মুকুন্দপুর অ্যামবুশ-১৩ই সেপ্টেম্বরঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রেলপথে যাতায়াত বাধা সৃষ্টি করার জন্য আমরা রেলওয়ে লাইনে ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন পুঁতে রাখতাম। এ ব্যাপারে পাকিস্তানীরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে। তারা রেলগাড়ির ইঞ্জিনের আগে দুটো কি তিনটে ওয়াগন জুড়ে দিত। এতে ঐ ওয়াগনগুলোই প্রথম বিধ্বস্ত হত এবং ট্রেনের বিশেষ কোন ক্ষয়ক্ষতি হত না। তাদের এই ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অন্য

মুকুন্দপুর অ্যামবুশ Read More »

কটিয়াদি অ্যামবুশ

কটিয়াদি অ্যামবুশ,৭ই আগস্ট,১৬ আগস্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনী বেলাবোতে জয়লাভের পর এক প্রকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। তারা এমনি আত্মতৃপ্তি নিয়ে চলাফেরা করত যে,তারা মনে করেছিল যে তাদের চলাফেরায় বাধা দেবার আর কেউ নাই। আমাদের সৈনিকরাও চুপ করে ছিল না। তারও সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ৭ই আগস্ট থেকে আমাদের সৈনিকরা পাকসেনাদের গতিবিধি লক্ষ্য করেছিল। অবশেষে ১৬ আগস্ট সে সুযোগ

কটিয়াদি অ্যামবুশ Read More »

রায়পুরার নিকটবর্তী বেলাবো অপারেশন

রায়পুরার নিকটবর্তী বেলাবো অপারেশন-১৪ই জুলাই: পাকিস্তান সেনাবাহিনী তখনো রায়পুরা, নরসিংদী, কাপাসিয়া, মনহরদী, কুলিয়াচর, কটিয়াদী এলাকায় ১৪ই জুলাই পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেনি। কারণ আমাদের নিয়মিত বাহিনী দ্বারা গঠিত এই ক্যাম্পগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। তাদের এসব জায়গা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য পাকবাহিনী লঞ্চের সাহায্যে বেলাবো অভিমুখে অগ্রসর হয়। বেলাবোতে আমার যে দল ছিল তার নেতৃত্ব করছিল

রায়পুরার নিকটবর্তী বেলাবো অপারেশন Read More »

সাক্ষাৎকারঃ মেজর জেনারেল এ কে এম শফিউল্লাহ

শিরোনাম সূত্র তারিখ ৫। ৩নং সেক্টরের ও ‘এস’ ফোর্সের যুদ্ধ বিবরণ সাক্ষাৎকারঃ মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ ——–১৯৭১ <১০, ৫, ১৯৯-২১৬> সাক্ষাৎকারঃ মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ তেলিয়াপাড়া পতনের পর সিলেটের মনতলা হতে সিংগারবিল পর্যন্ত এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণধীন ছিল। এ এলাকা থেকে আমরা গেরিলা ট্রেনিংপ্রাপ্ত ছেলেদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কিভাবে ক্ষতি করতে হবে সেভাবে

সাক্ষাৎকারঃ মেজর জেনারেল এ কে এম শফিউল্লাহ Read More »

সাক্ষাৎকারঃ মেজর দিদার আতাউর হোসেন

<১০, ৪.১২, ১৪৬-১৪৮> সাক্ষাৎকারঃ মেজর দিদার আতাউর হোসেন   অক্টোবরে বাংলাদশ সেনাবাহিনীর অফিসার হওয়ার পর আমাকে কে ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধ এলাকায় পাঠানো হল। নভেম্বরের ১/২ তারিখের রাতে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে আমাদের ৩ তা কোম্পানী এবং ২ য় বেঙ্গলের আরো একটা কোম্পানি নিয়ে বেলুনিয়া পকেটে যেতে হয়। পরশুরাম ও ফুলগাজির মাঝামাঝি পাকিস্তানীদের দুটি ক্যাম্পের মধ্যে

সাক্ষাৎকারঃ মেজর দিদার আতাউর হোসেন Read More »

সাক্ষাৎকারঃ সুবেদার গোলাম আম্বিয়া

<১০, ৪.১১, ১৪৬-১৪৮> সাক্ষাৎকারঃ সুবেদার গোলাম আম্বিয়া   ৭ ই জুন এক এমবুশে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১২ ই জুন সিঙ্গারবিল এলাকায় এমবুশে ১৩ জন পাকসেনা নিহত ও ২ জন আহত হয়। ১৬ ই জুন এক এমবুশে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। ২০ শে জুন আর এক এমবুশে ২ জন নিহত হয়। ২৩ শে

সাক্ষাৎকারঃ সুবেদার গোলাম আম্বিয়া Read More »

সাক্ষাৎকারঃ সুবেদার আবদুল ওয়াহাব

<১০, ৪.১০, ১৪৬-১৪৮> সাক্ষাৎকারঃ সুবেদার আবদুল ওয়াহাব  (বীর বিক্রম)   আমি এপ্রিল মাসেই ভারতের সোনামুড়াতে চলিয়া যাই এবং সেখান হইতে ক্যাপ্টেন গাফফারের নেতৃত্বে দেবীপুর আসি। তখন সি কোম্পানীর কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন গাফফার। আমি তখন সি কোম্পানীর ৭ নং প্লাটুনের প্লাটুন কমান্দার ছিলাম। এইখানে পুরো কোম্পানি লইয়া আমরা কয়েকটি অপারেশন করি। আমি আমার নিজস্ব প্লাটুন লইয়াও

সাক্ষাৎকারঃ সুবেদার আবদুল ওয়াহাব Read More »

Scroll to Top