মুক্তি বাহিনীর সর্বাধিনায়কের একটি চিঠি

শিরোনামউৎসতারিখ
৩৯। মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের একটি চিঠি১ নং সেক্টরের দলিলপত্র৩০ জুলাই, ৭১

 

ট্রান্সলেটেড বাইঃ Razibul Bari Palash

<১১, ৩৯, ৪৮৮- ৪৮৯>

 

গোপনীয়

 

বাই এয়ার কুরিয়ার সার্ভিস

নং- ১০১৫/এ

হেড কোয়ার্টার, বাংলাদেশ ফিল্ড ফোর্স

সি/ ও- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, মুজিবনগর

৩০ জুলাই, ৭১

 

 

প্রতি

সকল সেক্টর কমান্ডার / বি এন এস  ইস্ট বেঙ্গল

অবগত করন কপি – COS

 

বিষয় – বীরত্বের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ

 

১। বীরত্বের পুরস্কারের জন্য নিম্নলিখিত আদেশগুলো প্রদান করা হলেও এখনো সবগুলো সুপারিশ পৌঁছেনি।

 

বীরত্বের প্রকারনির্বাচন      খেতাব / পুরস্কার

 

সর্বোচ্চ ধাপমৃত্যুর মারাত্মক ঝুঁকি থাকার পরেও এবং শত্রুপক্ষের ভালো অবস্থান থাকা সত্ত্বেও যার সফলতায় যুদ্ধে আমাদের জয় হবে এমন ব্যাক্তি এই পুরস্কার পাবেন। এর ৩ জন সাক্ষী থাকতে হবে।

 

১০০০০ রুপি
সর্বোচ্চ বীরত্বের প্রশংসনীয় সার্টিফিকেট

 

 

উপরে উল্লেখিত অবস্থার চেয়ে সামান্য কম বীরত্বের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে। ২ জন সাক্ষী থাকতে হবে।

৫০০০ রুপি।
 এর থেকে সামান্য কম অবদানের ক্ষেত্রে। ১ জন সাক্ষী থাকতে হবে।২০০০ রুপি।
  

এর চেয়ে কম বীরত্বের ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত মানের সার্টিফিকেট প্রদান করা না হলেও একটি পজিটিভ স্বীকৃতি পুরষ্কার দেয়া হবে।

 

 

২।  এপেন্ডিক্স এ সংযোজিত ফরমটি দায়িত্বরত কমান্ডার  (যেমন – কয় কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন ও সেক্টর কমান্ডারের মাধ্যমে) ইনিশিয়েট করবেন এবং তিনি সঠিক ভাবে পূরণ করে পার্সোনেল , হেড  কোয়ার্টার বাংলাদেশ ফোর্স বরাবর পরবর্তি ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য  প্রেরণ করবেন। প্রত্যেক উল্লেখিত কমান্ডারগণ নিজ হাতে সুপারিশ ফরমে নাম ও সে কোন পর্যায়ের পুরস্কার পাবে সেই সুপারিশ স্পষ্ট করে উল্লেখ করবেন।

 

এই পূরণকৃত ফরমটি ‘গোপনীয়’ বিবেচিত হবে। জানার প্রয়োজন নেই – এমন কারো কাছে কোন ভাবেই এটি প্রকাশ করা যাবেনা। ৩০ জুন ৭১ পর্যন্ত  সকল সুপারিশ অতিসত্বর জমা দিতে হবে। এর পর থেকে প্রতি মাসেরটা তার পরের মাসের ১ তারিখ জমা দিতে হবে।

 

৩। তাৎক্ষণিক পুরস্কারের জন্য বিশেষ বিধান – কোন অসাধারণ কাজ অথবা বড় কোন অপারেশনে অসাধারণ বীরত্বের জন্য তাৎক্ষণিক পুরস্কার দেয়া যেতে পারে। এবং সেটি অতিসত্বর উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ফরম পূরণ করে যথাযথ মাধ্যম বরাবর প্রেরণ করতে হবে।

 

৪। হেড কোয়ার্টার এগুলো প্রাপ্তির পর, একটি বোর্ড নিচের প্যারা ৫ এ বর্নিত পদ্ধতিতে প্রতিটি ক্ষেত্র মূল্যায়ন ও নিরীক্ষণ করবেন।  এবং সি-ইন-সি এর অনুমোদনের পর “সি-ইন-সি ‘থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ করাব জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করবেন। তিনি সরকারের পক্ষে পুরস্কারটি চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন। এরপর সম্পর্কিত সকলকে অবগত করা হবে।

 

৫।  বীরত্বের পুরস্কার জন্য প্রস্তাবনা যাচাই বোর্ড-

প্রেসিডেন্ট: চীফ অব স্টাফ (তাৎক্ষণিক পুরস্কার বা অন্যথায়, যখন COS ‘উপস্থিতি থাকতে পারবেন না সেক্ষেত্রে ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ চেয়ারম্যান হবেন )

 

সদস্য: একজন সেক্টর কমান্ডার (বাই রোটেশন) ,  ACOS (অপারেশনস) , ACOS (পার্সোনেল ও সরবরাহ) – এরাও বোর্ডের সেক্রেটারি থাকবেন।

 

৬।  উদ্ধৃতি প্রকাশনা –  বীরত্বের পুরস্কার জন্য মানপত্রটি সাবধানে  পরীক্ষা নিরীক্ষা করত ও নিরাপত্তা জনিত বিষয় মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় সংশোধন/ পরিমার্জন করে প্রকাশন / রেডিও সম্প্রচারের জন্য প্রস্তুত ও কার্যকর করতে হবে।

 

৭। এ সি কে

 

স্বা – এম এ জি ওসমানী

কমান্ডার ইন চিফ

 

গোপনীয়

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top