যুদ্ধের ঘটনাপঞ্জীঃ ব্রিগেডিয়ার গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী

শিরোনামসূত্রতারিখ
৭ নং সেক্টরে সংঘটিত যুদ্ধের বিবরণ মে-ডিসেম্বর ১৯৭১

<১০, ১৩.১, ৩৩৪-৩৪২>

অনুবাদ

যুদ্ধের ঘটনাপঞ্জীঃ ব্রিগেডিয়ার গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী*

৩০-১০-৭০

 

DateEventsCasualties
০৪-০৫-৭১চারজন মুক্তিযোদ্ধার একটি দলকে বিশেষ মিশনে রাজশাহী পাঠানো হল।এক জন শান্তি কমিটি চেয়ারম্যানকে আহত করা হয়েছে।
১০-০৫-৭১নায়েব সুবেদার মুবশশারুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল চারঘাট থানা আক্রমন করল।১০ জন পাক সেনা/মিলিশিয়া নিহত এবং ৭ জন আহত
১৩-০৫-৭১হাবিলদার খঃ আঃ মতিন এক সেকশন সেনা নিয়ে সারদা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার আক্রমন করল।৬ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত
১৪-০৫-৭১আমাদের একটি দল মীরগঞ্জ বিওপি আক্রমন করল৭ জন পাকি সেনা নিহত এবং আরো ৭ জন আহত
১৪-৫-৭১ল্যান্স নায়েক শারিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল মুখতারপুরে হানা দিলো।৩ জন পাকিস্তানি দালাল নিহত
১৪-০৫-৭১আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা রাজশাহীতে আক্রমন চালালো।৬ জন পাকিস্তানি দালাল নিহত
১৪-০৫-৭১আমাদের মুক্তিযোদ্ধার একটি দল মীরগঞ্জে নাকিমুদ্দিন নামে একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে হামলা করলো।১ জন শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত
১৫-০৫-৭১হাবিলদার কাওসারুদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি দল আলাতলির মুসলিম লীগের চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা করলো।মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান নিহত
১৫-০৫-৭১হাবিলদার আমিরুজ্জামান সহ ১০ জন সেনা সারদা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার আক্রমন করলো।ভেড়ামারায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন খুঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।
১৬-৫-৭১নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ ইসমাইলের নেতৃত্বে এক সেকশন যোদ্ধা গোদাগাড়ীতে শত্রু অবস্থানের উপর হামলা করলো।৩ জন অবাঙ্গালী পাহারাদার নিহত
১৬-৫-৭১হাবিলদার আমিরুজ্জামান ৫ জন সেনা সাথে নিয়ে আলাইপুর এর এক শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়ি আক্রমন করলো।১ জন শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত
১৬-৫-৭১আমাদের মর্টার সেকশন রাজশাহী পুলিশ লাইনের উপর গোলাবর্ষন করলো।১৭ জন পাক সেনা নিহত এবং ২৫ জন আহত।
১৬-৫-৭১হাবিলদার মজিবর রহমানের নেতৃত্বে ১২ জন সেনার একটি দলকে বিদিপুর সড়কের সেতু উড়িয়ে দেবার জন্য পাঠানো হল।বিদিপুর সড়ক সেতু উড়িয়ে দেয়া হল।
১৭-৫-৭১Mjd মিনুরুল ইসলাম যোদ্ধাদের একটি দলকে সাথে নিয়ে বাগদানিতে একজন পাকিস্তানি দালালের বাড়িতে হামলা করে।এক জন পাকিস্তানি দালাল নিহত।
১৮-৫-৭১নায়েক একরাম আলি ৫ জন যোদ্ধাকে সাথে নিয়ে খারচাক্কা এলাকার পাকিস্তানি দালাল আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে হামলা করে।এক জন পাকিস্তানি দালাল নিহত।
২৪-৫-৭১১৫ জন যোদ্ধাকে সাথে নিয়ে হাবিলদার আজিজুর রহমান বাসুদেবপুর গ্রামে আক্রমন চালায়।২৫ জন পাকিস্তানি দালাল নিহত, আমাদের একজন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
০৪-০৬-৭১শত্রু আমাদের মুক্তাঞ্চল পোলাডাঙ্গাতে হামলা করে।আমাদের সেনারা শত্রুর সাথে যুদ্ধ করে শত্রুকে একাধিক লাশ পেছনে ফেলে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ১৭ পাক সেনা নিহত, ২৫ জন আহত, এবং ২৫ জন পাকিস্তানি দালাল নিহত। আমাদের হাবিলদার মতিন এবং অন্য একজন কনস্টেবল আহত হয়েছে।
১৯-৬-৭১হাবিলদার হুমায়ুন কবির ১০ জন সৈনিক নিয়ে পাকিস্তানি দালাল প্রেমতলির মালেক স্বর্ণকারের বাড়িতে হামলা করে।মালেক স্বর্ণকারকে হত্যা করার পাশাপাশি গোদাগাড়ী এবং নবাবগঞ্জের মধ্যকার টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
২১-৬-৭১মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায়।চেয়ারম্যান নিহত।
২৪-৬-৭১গোদাগাড়ীর পাকিস্তানি দালাল মেসের বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা করে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল।মেসের বিশ্বাস কে হত্যা করা হয়েছে।
২৪-৬-৭১হাবিলদার কাওসারউদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শান্তি কমিটির একজন মেম্বারের                                                                                                                                                        বাড়িতে হামলা করে।শান্তি কমিটি মেম্বারকে হত্যা করা হয়েছে।
২৫-৬-৭১একদল মুক্তিযোদ্ধা আজ রাজশাহী টেলিফোন এক্সচেঞ্জে হামলা করেছে।এক মিলিশিয়া গার্ড নিহত হয়েছে।
২৫-৬-৭১একদল মুক্তিযোদ্ধা আজ নাটোর – রাজশাহী সড়কে রেল ক্রসিং এ হামলা করেছে।একজন রেলওয়ে গার্ড নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
২৫-৬-৭১চারঘাট থানার বানেস্বর এ একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা করলো।একজন শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত হয়েছে।
২৬-৬-৭১কাটাখালিতে একটা সড়ক সেতু ধ্বংস করার জন্য একটি ডেমোলিশন পার্টি পাঠানো হল। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এলাকাতে শত্রুর অবস্থানের উপর ৩” মর্টারের ৪ টি গোলা বর্ষন করা হল।কাটাখালি সেতু ধ্বংস করা হয়েছে। দুজন বেসামরিক পাহারাদার নিহত। সালদার কাছে বিদ্যুতের খুঁটিও উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
২৭-৬-৭১এক আক্রমনে কাটাখালিতে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৪ টি ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।৩ মিলিশিয়া নিহত।
২৭-৬-৭১তেলাইমারিতে একজন শান্তি কমিটির মেম্বারের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা করেছে।শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়ীর ক্ষতি করা হয়েছে।
৩০-৬-৭১সারদা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কাছে একটি রেলসেতু ধ্বংস করার জন্য ডেমোলিশন পার্টি পাঠানো হল।৭ জন পাক সেনা নিহত।
৩০-৬-৭১পানিকামরি, চারঘাটের বাহার নামের একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে হামলা করা হল।শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত।
৩০-৬-৭১নওহাটা, রাজশাহীর একজন শান্তি কমিটি মেম্বার/পাকিস্তানি দালালের বাড়িতে হামলা করা হল।দুইজন শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত।
৩-৭-৭১একদল মুক্তিযোদ্ধা অপারেশন চালানর জন্য রাজশাহী গেল।অপারেশনের পর নদী পার হতে গিয়ে শত্রুর হাতে একজন ছাত্র নিহত হয়েছে এবং আহত অন্য আরেকজনকে বারাকপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১-৭-৭১কুঠিপারায় শত্রু অবস্থানের উপর মুক্তিযোদ্ধারা হামলা করেছে।২ জন পাকসেনা নিহত।
৩০-৭-৭১মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুর একটি জীপের উপর অ্যামবুশ করেছে।জীপের উপর গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছে।
৩০-৭-৭১মুক্তিযোদ্ধারা রাজশাহী বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা করেছে।২ জন মিলিশিয়া গার্ড নিহত, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
১-৭-৭১মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল সাহেববাজারে হামলা করেছে।৪ জন পাকিস্তানি দালাল নিহত।
১-৭-৭১কিছু বেসামরিক লোক মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি দলকে ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করছিল।১ বেসামরিক লোক নিহত।
১-৭-৭১পবা থানার সুজাপুরে একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা করলো।শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত।
১-৭-৭১পবা থানার খন্দকাটারে একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা করলো।২ জন পাকিস্তানি দালাল নিহত।
১-৭-৭১পবা থানার বেতকুরি গ্রামে একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের এবং পাকি সেনাদের দালালের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা করলো।১ জন পাকিস্তানি দালাল নিহত।
১-৭-৭১পালপুরে জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীর বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা করলো।১ পাকিস্তানি দালাল নিহত।
১-৭-৭১মুক্তিযোদ্ধারা নওহাটা বিমানবন্দরে হামলা করলো।৬ পাকিস্তানি দালাল নিহত।
১-৭-৭১মুক্তিযোদ্ধাদের একটা দল রাজশাহী শহরে আক্রমন চালালো।৫ জন অবাঙ্গালী নিহত।
১-৭-৭১চারঘাট থানার কুঠিপাড়াতে শত্রু অবস্থানের উপর হামলা করেছে মুক্তিযোদ্ধার দল।২ পাক সেনা এবং ১ দালাল নিহত।
২-৭-৭১রাজশাহীর দামকুড়াতে একজন পাকিস্তানি দালালের বাড়িতে হামলা করলো মুক্তিযোদ্ধারা।১ পাকিস্তানি দালাল নিহত।
২-৭-৭১মুক্তিযোদ্ধারা রাজশাহী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আক্রমন করলো।১ পাকিস্তানি দালাল নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছে।
২-৭-৭১রাজশাহীর দুর্গাপুরে একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে হামলা করলো মুক্তিযোদ্ধারা।১ পাকিস্তানি দালাল এবং একজন শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত।
২-৭-৭১মুক্তিযোদ্ধারা দুর্গাপুর তহশিল অফিসে হামলা করলো।তহশিল অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং দুর্গাপুর এবং সারদার মধ্যে টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
৩-৭-৭১মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল রাজশাহী বিহারী কলোনিতে জনৈক আলাউদ্দিনের বাড়িতে হামলা করলো।আলাউদ্দিন, তার স্ত্রী এবং শিশু নিহত।
৩-৭-৭১একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে হামলা করলো মুক্তিযোদ্ধারা।শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত।
৬-৭-৭১আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ঈশ্বরদীতে হামলা করল।পাকসী ও ভেরামারার মধ্যকার টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
৭-৭-৭১রুস্তমপুরে একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে হামলা করলো মুক্তিযোদ্ধারা।একজন শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত।
৭-৭-৭১আমাদের যোদ্ধারা আড়ানি রেলওয়ে স্টেশনে হামলা করেছে।আড়ানির সাথে অন্য সব স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
১৪-৭-৭১রাজশাহী শহরে আমাদের যোদ্ধারা হামলা করলো।৩ জন অবাঙ্গালী নিহত হয়েছে এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে
১৪-৭-৭১আমাদের যোদ্ধারা নওহাটায় সেনা অবস্থানের উপর হামলা করলো।৪ সেনা, ২ পাক দালাল নিহত এবং আরো দুজন আহত।
১৪-৭-৭১আমাদের যোদ্ধারা হরিয়ান চিনিকলে হামলা করে মিল কম্পাউন্ডে গ্রেনেড ছুঁড়ে মেরেছে। 
১৬-৭-৭১আমাদের যোদ্ধারা গোপালপুর ও লালপুরে হামলা চালালো।একজন পাকিস্তানি দালাল নিহত ও একজন আহত।
১৬-৭-৭১আমাদের যোদ্ধারা আটারি সেতুর গার্ডদের উপর হামলা চালালো।এক জন রাজাকার নিহত এবং ২ জন মিলিশিয়া আহত।
১৬-৭-৭১আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা আজ রাজশাহী বিমানবন্দরে হামলা চালালো।একজন পাকিস্তানি দালাল নিহত।
১৭-৭-৭১চারঘাট থানার একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে হামলা করলো মুক্তিযোদ্ধারা।গ্রেনেড হামলায় দুজন শান্তি কমিটি মেম্বারকে আহত করা হয়েছে।
১৯-৭-৭১পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার পাইলট স্কুলে যোদ্ধারা হামলা করলো।পাইলট স্কুলের পাহারাদার নিহত।
১৯-৭-৭১রাজশাহীতে পাকিস্তানি দালাল আজিমুদ্দিনের বাড়িতে হামলা করলো মুক্তিযোদ্ধারা।তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
১৯-৭-৭১বিনোদপুরের একজন শান্তি কমিটি মেম্বারের বাড়িতে হামলা করলো মুক্তিযোদ্ধারা।গ্রেনেড হামলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
২০-৭-৭১রাজশাহী শহরের ফুড়কিপারায় আজ শত্রুর একটি টহল দলের উপর অ্যামবুশ করা হয়েছে৪ জন মিলিশিয়া নিহত
২০-৭-৭১লালপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আমাদের যোদ্ধারা আক্রমন করলো৭ জন অবাঙ্গালী পুলিশ নিহত।
২২-৭-৭১নায়েব সুবেদার মোবাশারুল সাথে আরো দুজনকে নিয়ে মিরগঞ্জে রাজাকার অবস্থানের উপর হামলা চালালো।৫ জন রাজাকার নিহত হবার পাশাপাশি চারঘাট এবং মিরগঞ্জের মধ্যে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন
২৪-৭-৭১বাঘার কাছে ভেরামারা-রাজশাহী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তিনটি খুঁটি উড়িয়ে দিয়েছে আমাদের যোদ্ধারা। 
২৪-৭-৭১২” মর্টারের সহায়তার লালপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপর হামলা চালালো আমাদের যোদ্ধারা।পাক সেনাবাহিনির একটি জিপ ধ্বংস হয়েছে।
৩১-৭-৭১নবাবগঞ্জ এবং রাজশাহীর মধ্যকার দুটি টেলিফোন পিলার ধ্বংস করা হয়েছে 
৩-৮-৭১আমাদের ৭ জন যোদ্ধার একটি দল তাহিরপুরে ১৫ জন শত্রুসেনার একটি টহলদলকে অ্যামবুশ করেছে।১৫ জন শত্রুসেনা তাহিরপুর নদীতে ডুবে মারা গেছে।
৪-৮-৭১যোদ্ধাদের ৬ জনের একটি দল তাহিরপুর স্কুলে আক্রমন করলো।৮ মিলিশিয়া নিহত এবং ২ জন আহত।
৪-৮-৭১আমাদের যোদ্ধারা একটি সামরিক জীপকে অ্যামবুশ করেছে।২ পাক সেনা নিহত।
৪-৮-৭১আমাদের ২ জন যোদ্ধা কাটাখালিতে শত্রুর সেন্ট্রি পোস্টে আক্রমন করেছে।এক জন শত্রু নিহত এবং ৩ জন আহত।
৫-৮-৭১সিতলাইতে আমাদের ডেমলিশন পার্টি অপারেশনে গেলসিতলাই রেল সেতু ধ্বংস করা হয়েছে।
৫-৮-৭১গোদাগাড়ী থানা হাই স্কুলে অবস্থান নেওয়া রাজাকার ও মিলিশিয়াদের উপর আমাদের ২” মর্টার সেকশন গোলাবর্ষন করলো।৩ রাজাকার/মিলিশিয়া নিহত এবং ৪ জন আহত।
১০-৮-৭১আমাদের যোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের ভ্যানের উপর অ্যামবুশ করেছে এবং পিটিআই ট্রেনিং মাঠে অ্যান্টি পার্সোনাল মাইন স্থাপন করেছে।৮ রাজাকার নিহত এবং একজন আহত।
১৫-৮-৭১সাব সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে আমাদের যোদ্ধারা হরিপুর ব্রিজে রাজাকারদের উপর হামলা করেছে এবং নবাবগঞ্জে ইপিকাফ লাইন, পুলিশ লাইন এবং কোর্ট এলাকায় ২০০ গজ দূর থেকে মর্টার হামলা করেছে।৯ জন রাজাকারকে আটক করা হয়েছে এবং হরিপুর ব্রিজ সম্পুর্নরুপে ধ্বংস করা হয়েছে।
১৫-৮-৭১নাটোরের আটারি থানায় হামলা চালিয়েছে আমাদের ৮ জন যোদ্ধার একটি দল।৮ জন রাজাকার নিহত।
২০-৮-৭১আমাদের এক সেকশন সেনা রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানা আক্রমন করলো।১১ রাজাকার নিহত এবং ১২ জন আহত। ১ জন শান্তি কমিটি মেম্বার নিহত।
২০-৮-৭১এক সেকশন মুক্তিযোদ্ধা দুর্গাপুর থানা আক্রমন করলো।৯ রাজাকার নিহত, ১২ আহত, ২ আটক
২৩-৮-৭১৪৫ জনের একটি এফএফ/এমএফ সম্মিলিত দল সাব সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে অভয়া ব্রিজ আক্রমণ এবং ধ্বংস করতে গেল। 
২৩-৮-৭১রাজশাহী শহর থেকে ২০ মাইল দূরে রাজশাহী – নবাবগঞ্জ সড়কশত্রুর সাথে গুলি বিনিময়ের পর যাত্রীসহ শত্রুদের দুটি নৌকা ডুবে যেতে দেখা গেছে। আমাদের এক জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে।
২৫-৮-৭১পবা এলাকার আফিপাড়া থানায় শত্রু অবস্থানের ওপর মুক্তিফৌজ আক্রমন চালালো।৬ রাজাকার ও ১ পাক সেনা নিহত।
৩-৯-৭১আমাদের যোদ্ধারা বাজুবাকাতে শত্রু অবস্থানের ওপর হামলা চালায়।৩৪ রাজাকার নিহত এবং ২৪ জন আহত।
৬-৯-৭১আমাদের দুই সেকশন সৈন্য প্রেমতলিতে পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থানের উপর আক্রমন চালালো।২ পাক সেনা ও ২ রাজাকার নিহত, ৭ জন আহত
১৩-৯-৭১এক প্লাটুন মুক্তিসেনা রামচন্দ্রপুরে পাক সেনা অবস্থানের উপর আক্রমন করলো।২০ পাক সেনা ও ১২ রাজাকার নিহত, ১৩ পাক সেনা আহত। আমদের ১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন, ২ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত।
১৬-৯-৭১আমাদের মর্টার সেকশন সারদা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের উপর আজ গোলাবর্ষন করেছে।৩০ রাজাকার/পাকসেনা নিহত, ৫০ জন আহত
২০-৯-৭১মুক্তিযোদ্ধারা চারঘাটে শান্তি কমিটির সেক্রেটারির বাড়িতে হামলা করেছে।শান্তি কমিটির সেক্রেটারি নিহত
২২-৯-৭১জামাতে ইসলামীর সভা চলাকালে আমাদের যোদ্ধারা ইসলামপুর ইউসি আক্রমন করে২ শান্তি কমিটি মেম্বার গ্রেপ্তার
২২-৯-৭১এক সেকশন মুক্তিযোদ্ধা কাটাখালি পাওয়ার স্টেশনে হামলা করে। ৩” মর্টারের সাহাজ্যে ২৪ টি বোমা কাটাখালি পাওয়ার স্টেশনের উপর ফেলা হয়।২ পাকসেনা নিহত এবং ১০ জন আহত
২২-৯-৭১১৫ জন যোদ্ধা সাথে নিয়ে হাবিলদার শফিকুল ইসলাম রুস্তমপুর হাটে রাজাকারদের উপর আক্রমন করে।২ রাজাকার নিহত
২৪-৯-৭১আমাদের যোদ্ধারা একজন পাকিস্তানি দালালের বাড়িতে হামলা করেছে।১ পাকিস্তানি দালাল নিহত
২৬-৯-৭১হাবিলদার মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দুই সেকশন যোদ্ধা আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের পেছনে মুক্তারপুরে হামলা চালিয়েছে।মুক্তারপুরে দুইটি বিদ্যুতের খুঁটি উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
২৭-৯-৭১মুক্তিযোদ্ধারা আজ ৩” মর্টার থেকে নবাবগঞ্জ থানার রামচন্দ্রপুর হাটে গোলাবর্ষন করেছে।৭ পাকসেনা নিহত
৩-১০-৭১হাবিলদার শফিকুরের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা ডাকড়া বাজারে রাজাকারদের উপর হামলা করেছে।১ পাকসেনা, ২০ রাজাকার, এবং এক পাকি দালাল নিহত এবং এ রাজাকার আহত
৩-১০-৭১মুক্তিযোদ্ধারা বেলবাড়িয়াতে রাজাকার/মুজাহিদদের উপর আক্রমন করলো।১৫ রাজাকার নিহত ও ৪ জন আহত
১০-১০-৭১মুক্তিযোদ্ধারা নবাবগঞ্জে রাজাকারদের উপর আক্রমণ করেছে এবং রেল লাইনে মাইন স্থাপন করেছে।পাকিস্তানিদের সেনা বহনকারী একটি ট্রেন ধ্বংস করা হয়েছে, ২৫ জন পাকসেনা নিহত।
১০-১০-৭১শত্রু সেনারা ইসলামপুরে আমাদের উপর হামলা করেছে।যুদ্ধে ২০ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে। আমাদের একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছে।
১১-১০-৭১সাব সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে ২ সেকশন মুক্তিযোদ্ধা গোদাগাড়ী ও সুলতানপুরে শত্রুর অবস্থানের উপর ৩” মর্টারের ৪৬টি গোলা বর্ষন করেছে। 
১২-১০-৭১৩” মর্টারের গোলা বর্ষন করে শত্রুর অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিয়েছে আমাদের সেনারা।৫০ শত্রু সেনা নিহত এবং ৩০ জন আহত। আমাদের একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়েছেন।
১০-১০-৭১মাইনের সাহায্যে শক্তিবৃদ্ধির জন্য রাজশাহী থেকে আমনুরাগামী সেনাবাহী বিশেষ ট্রেনকে উড়িয়ে দিয়েছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা।৩০ জন পাকসেনা হতাহত হয়েছে
২৭-১০-৭১মুক্তিযোদ্ধারা বাগদানি, রাজশাহীতে রাজাকার/মিলিশিয়া ঘাঁটিতে আক্রমন করেছে।৫ জন রাজাকার/মিলিশিয়া নিহত। মিলিশিয়া ক্যাম্প সম্পুর্নরুপে বিধ্বস্ত।
১০-১০-৭১মুক্তিযোদ্ধা ও নিয়মিত বাহিনীর সম্মিলিত দল রাজাকারদের একটি টহলদলকে আক্রমণ করেছে৩ রাজাকার নিহত, ৪ রাজাকার গ্রেফতার।
৯-১০-৭১বড়কান্তপুর ও সুন্দরপুর মুক্তাঞ্চলে শত্রু ৩০ রাউন্ড গোলা বর্ষন করেছে। 
১৩-১০-৭১শত্রু ৩” মর্টার দিয়ে আনুমানিক ৫০ রাউন্ড গোলাবর্ষন করেছে জয়ান্দিপুরে আমাদের অবস্থানের উপরে। 
১৪-১০-৭১আমাদের বাকেরালি ঘাঁটির উপর গোলাবর্ষন করেছে শত্রু। আমাদের সেনারা ৩” মর্টার দিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে। 
১৫-১০-৭১স্থানীয় এক পুলিশের সহায়তায় এক প্লাটুন রাজাকার লালপুরে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রাজাকারদের গুলিবিনিময় হয়।২০ রাজাকার নিহত। একজন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
২১-১০-৭১১৫ জন করে মুক্তিযোদ্ধা ও নিয়মিত বাহিনীর দুটো দল ফরহাদপুর সেতুর উপর বিশেষ মিশন নিয়ে হামলা করে। সেতুর দুইদিকে শত্রুর বাঙ্কার থাকার পাশাপাশি রাজাকারদের প্রহরাও ছিল।ফরহাদপুর সেতু সম্পুর্নরুপে ধ্বংস করা হয়েছে
২৫-১০-৭১মুক্তিযোদ্ধাদের ২৫ জনের দল লালপুরে থানা আক্রমণ করলো।লালপুর থানার বুলমারিয়ার ৮ জন রাজাকার আত্মসমর্পন করেছে
৩০-১০-৭১মুক্তিযোদ্ধারা সুন্দরপুরে শত্রু অবস্থানের উপর হামলা করেছে।শত্রু পালিয়ে গেছে।
৩০-১০-৭১জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা মুক্তাঞ্চলে হামলার চেষ্টা করলে মুক্তিযোদ্ধারা গুলি ছুঁড়েছে।২ জন জামায়াত কর্মী নিহত।
৩০-১০-৭১মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কুমারপুর সেতু ধ্বংস করতে গিয়ে সেতুর দিকে শত্রুর এক গাড়ী বহর আসতে দেখে তাড়াহুড়া করে একটি অ্যামবুশ করে।শত্রুর দুটি জিপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
৬-১১-৭১আমাদের এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা পেবিনগরে শত্রু অবস্থানের উপর আক্রমণ করেছে। কিছুক্ষন গুলিবিনিময়ের পর শত্রু পালিয়ে যায়।২ পাকসেনা নিহত।
৭-১১-৭১মুক্তিযোদ্ধা ও নিয়মিত বাহিনির সমন্বিত দুটি প্লাটুন ইসলামপুরে ও জয়ান্দিপুরে শত্রুর ওপর হামলা করেছে। 
৮-১১-৭১জহুরপুর গ্রামে পাঞ্জাবিরা বাংলাদেশ সমর্থকদের বাড়িঘর লুটপাট ও আগুনে পুড়িয়ে এসেছিল। খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দ্রুত সেখানে যায় এবং একটা অ্যামবুশ করে।৫ মিলিশিয়া নিহত, একজনের লাশ টেনে ঘাঁটিতে আনা হয়েছে।
৭-১১-৭১মুক্তিযোদ্ধারা শাহপুর বিওপি (বর্ডার অবজার্ভের্শন পোস্ট) আক্রমণ করেছে।৩ রাজাকার নিহত।
১১-১১-৭১নরেন্দ্রপুরে আমাদের রক্ষন অবস্থানের ওপর ৩” মর্টারের দুটি গোলা বর্ষন ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে শত্রুর একটি দল হামলা চালায়। আমাদের সেনারাও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দিয়েছে। 
১২-১১-৭১আমাদের এক প্লাটুন যোদ্ধা জয়ান্দিপুরে শত্রুর উপর হামলা করে শত্রুদেরকে তাদের বাঙ্কার ও অন্যান্য জায়গা থেকে উৎখাত করেছে। আমাদের প্লাটুন ইন চার্জ আহত হয়েছেন। এক সেকশনের চেয়ে বেশি যোদ্ধা বড়রহিয়া আক্রমণ করেছে।৫ জন রাজাকার এবং শান্তি কমিটি মেম্বারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

২ জন রাজাকার নিহত হয়েছে।

১৩-১১-৭১রশিয়া এবং বাগডাঙ্গাতে ১২ টি বাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছে। 
১২-১১-৭১২ কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা বিএসএফ এর মর্টার সেকশনের সহায়তায় রাজারামপুরে শত্রু অবস্থানের উপর হামলা করেছে।১জন অফিসার সহ ৯ পাক সেনা নিহত, ৬০ রাজাকার/ইপিকাফ নিহত এবং ১২ রাজাকার গ্রেফতার। আমাদের ৪ জন মুক্তিফৌজ ও ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়।
২৪-১১-৭১শত্রুরা ইসলামপুর, চাটাইডুবি ও প্রোগ্রামে নিজেদেরকে সংহত করছে। 
২৫-১১-৭১মুক্তিযোদ্ধাদের দল দরাই ও বাগদানিতে আক্রমণ করেছে।দরাই সেতু ধ্বংস করা হয়েছে। ৬ পাকসেনা নিহত। ২ জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
১৭-১১-৭১মিরাপাড়াতে শত্রুর অবস্থানের উপর আমাদের মর্টার থেকে গোলাবর্ষন করা হয়েছে।১২ পাকসেনা নিহত।
২৮-১১-৭১মুক্তিযোদ্ধারা জনৈক পাকিস্তানি দালালের বাড়িতে হামলা করে।২ পাকিস্তানি দালাল ও একজন রাজাকার নিহত। বাড়ি পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।
২৮-১১-৭১রাজাকাররা ৩” মর্টার হামলার আড়ালে মুক্তাঞ্চল থেকে গবাদিপশু তাড়িয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। গবাদিপশু তাড়িয়ে নিয়ে যাবার সময় আমাদের টহলদল রাজাকারদের দিকে গুলি করে। রাজাকাররা গরু ফেলেই পালিয়ে গেছে। 
১৬-১২-৭১শত্রু নবাবগঞ্জে ২ কোম্পানি নিয়মিত সেনা ও ১ কোম্পানি ইপিকাফ নিয়ে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে, সহায়তা পাচ্ছে ১২০ মিমি মর্টার ব্যাটারি এবং ৮২ মিমি মর্টার থেকে। আমাদের তিন কোম্পানি সেনা ভোর ৬ টায় নবাবগঞ্জ আক্রমণ করেছে। 

 

** ১৯৭১ সালের মার্চে ক্যাপ্টেন পদে কর্ম্রত ছিলেন। বিবরণটি প্রকল্প সংগৃহীত দলিলপত্র থেকে সংকলিত।

Scroll to Top